কেশবপুরে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো সারদীয় দুর্গাোৎসব।

স্টাফ রিপোর্টার
0

 


পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


কেশবপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কেশবপুরের ১ টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের ৯৭ টি মন্দিরে সৃষ্টু-শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থনীয় স্বেচ্ছাসেবক সর্বদা ছিল তৎপর।

প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী কেশবপুর শাখার নেতৃবৃন্দ, কেশবপুর পিএফজি'র সমন্বয়ক কবি মুনসুর আজাদসহ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (০১ অক্টোবর-২৫) দুপুরে পৌর এলাকার ত্রিপল্লী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, কেশবপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরিতলা মন্দির, শ্রীগঞ্জ কালিতলা মন্দির ও কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির পরিদর্শন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন, সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ ও কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর-২৫) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সারদীয় দুর্গাোৎসব। ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপ এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সবাই নতুন পোশাকে দেবী বন্দনায় অংশ নিচ্ছেন। ভক্তরা জানান, পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক মিলনমেলাও। ওই দিন ছিল মন্দিরে উপছেপড়া ভীড়। সকাল ৯ টার পর মঙ্গলযাত্রা, মায়ের কাছে প্রানখুলে প্রার্থনা করা, আলিঙ্গন, প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যায় মায়ের কপালে মা-বোনেদের সিঁদুর লেপন। এর পর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ পুরস্কার বিতরণ। সকল আনুষ্ঠানিকতা সেরে রাতে ছিল প্রতিমা বিসর্জ্জন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেশবপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব উৎপল দে জানান, কেশবপুর পৌরসভায় মোট পূজার সংখ্যা ০৭টি, ০১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০১টি, ০২ নং সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ১৩টি, ০৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৬টি, ০৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৫ টি, ০৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৫ টি, ০৬ নং কেশবপুর ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৭টি, ০৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৮ টি, ০৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ১২ টি, ০৯ নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ১৩ টি, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ১২ টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে মোট পূজার সংখ্যা ০৮ টি। এবছর মোট ৯৭টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী, সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, বুধবার ১ অক্টোবর মহানবমী এবং বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারী বিধি মেনে উপজেলার ৯৭ টি মন্দিরে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)