কেশবপুরে হযরত খাজা খান জাহান আলী’র ৫৮ তম স্মরণ সভা সমাপ্ত।

স্টাফ রিপোর্টার
0

পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।


কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী খানজাহান আলীর দীঘির পাড়ে হযরত খাজা খান জাহান আলী’র তিন দিন ব্যাপি ৫৮ তম স্মরণ সভা মঙ্গলবার সমাপ্ত হয়েছে।

সোমবার (১২ মে-২৫) কেশবপুরের ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে বিদ্যানন্দকাটি/মির্জাপুর খানজাহান আলী’র দীঘির পাড়ে যাকজমকপূর্ণ নিরিবিলি পরিবেশে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে “খানজাহান আলী” বিষয়ক আলোচনা, শিল্পী ও বাউল শিল্পীদের গান।

মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পলাশ-এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেশবপুর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন, চুকনগর ডিগ্রি কলেজর সাবেক অধ্যক্ষ, গবেষক ও সমাজ সেবক হাশেম আলী ফকির।

কেশবপুর উপজেলা কৃষক দলের উদ্যোগে খানজাহান আলীর ভক্তবৃন্দের আয়োজনে, তত্ত্ববাধয়ক খাদেম আকরাম আলী ও আব্বাস আলী ফকিরের সার্বিক সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও মিজানুর রহমান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ বেতার খুলনার গীতিকার ও কন্ঠ শিল্পী কেশবপুর লোকজ একাডেমির পরিচালক এস এম সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর একতারা শিল্পগোষ্ঠীর মিজানুর রহমান মিজান, নজরুল ইসলাম, সাগর হোসেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের শিল্পী নাছির উদ্দীন, বাউল শিল্পী রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

রোববার প্রথম দিনে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান। প্রধান আলোচক ছিলেন, বিশিষ্ট নাট্যকর ও সব্যসাচী লেখক কবি মুহম্মদ শফি, বিশেষ আলোচক ছিলেন, নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফকির জালাল উদ্দিন আহমেদ। ৩ ৩য় দিন মঙ্গলবারে প্রধান আলোচক ছিলেন, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিন।

বিশেষ অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, পাঁজিয়া সমাজ কল্যান সংস্থার পরিচালক ও পূরবী খেলাঘর আসরের সভাপতি বাবুর আলী গোলদার, কেশবপুর উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও কবি ইব্রাহিম রেজা, বেতার শিল্পী নাট্যকার লেখক সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ, মঙ্গলকোট সেবা সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক এস,এম কোরবান আলী, জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক পরেশ দেবনাথ, ডাঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।

লোক মুখে শোনা যায়, এই দীঘি এক রাতে দৈবিক ভাবে খনন হয়। যাহা পরম্পরায় খান জাহান আলী দীঘি নামে পরিচিতি লাভ করে। আজও এই দীঘি ইতিহাসের স্বাক্ষ্য বহন করে চলেছে।


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)