পরেশ দেবনাথ, বিশেষ প্রতিনিধি , দৈনিক সারা দুনিয়া।
“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি” প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে মেহেরপুর সদরে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগীতায় ও এফসিডিও’র অর্থায়নে এবং পিস ফ্যাসিলিটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে ওই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন-২৫) উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে পিএফজির সমন্বয়কারী মুজাহিদ আল মুন্নার সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, পিএফজির পিস অ্যাম্বাসেডর মাওলানা সিরাজ উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এজেএম সিরাজুল মনির, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এরশাদ আলী, ওসি (তদন্ত) সেলিম খান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম।
আন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রোকনুজ্জামান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রঞ্জিত পাল বাপ্পি, মেহেরপুর চার্জের সহকারি অফ পুরোহিত এলবাট ফলিয়া, সিডিপির নির্বাহী পরিচালক জন প্রোভাঞ্জন বিশ্বাস, সাংবাদিক মাহাবুবুল হক পোলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মোঃ খোরশেদ আলম এবং প্রজেন্টেশন করেন এলাকা সমন্বয়কারি এস. এম রাজু জবেদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মোছাঃ সায়্যেদাতুন্নেছা নয়ন। সার্বিক ত্বাবধানে ছিলেন ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মোঃ আশরাফুজ্জামান।বক্তারা বলেন, “সব ধর্মই শান্তি ও মানবকল্যাণের কথা বলে। সম্প্রীতি রক্ষা করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি ধর্মের কাজই শান্তি প্রতিষ্ঠা, পূর্বের সম্প্রীতি বজায় রাখতে কার্যক্রম তুলে ধরেন। জুলাই বিপ্লবে সকল ধর্মের অনুসারিরাই অংশগ্রহন করেছিলো। প্রত্যেকটা ধর্মই শান্তি প্রতিষ্ঠাই কাজ করেন। তাই কোন ধর্মকে ভয় পাওয়ার কোন কিছু নাই। হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই প্রোগ্রাম এই উপজেলাতে আয়োজন করার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া ক্যাসিনো, মাদক, জুয়া, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার জন্য কাজ করতে আহ্বান জানান সংলাপে মেহেরপুরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ও চার্জের ফাদার ও ধর্মযাজকরা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপ শেষে সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বানে ষোষণাপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে অঙ্গীকার করা হয়।