পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত হবে। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। আমাদের দেশের নারীরা পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। নারীরা দেশ গড়ার মূল কারিগর। দেশের নারীরা এখন অনেক সচেতন। মিথ্যা কিছু বলে তাদের বোঝানো যাবে না।
শনিবার (৯ আগস্বিট-২৫) বিকেলে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইউনিয়নের বেলকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক । আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি। আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমন একজন মতৃতুল্য নেত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। যেটা ছিল পরিত্যক্ত কারাগার। সেখানে কোন মানুষ বাস করে না। স্যাঁতস্যাঁতে একটি রুমে আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। মিথ্যা মামলা দিয়ে ও খুন-গুম করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ তা পারেনি। শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি কখনো কোন নির্বাচনে হারেননি। প্রতি নির্বাচনে পাঁচটি আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হয়েছিলো শেখ হাসিনার কাছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় শেখ হাসিনা। তারা বিএনপিকে ভয় পায়। এ জন্য ১৬টি বছর নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে।
“ক্ষমতায়িত নারী শক্তি পরিবারের মুক্তি”এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেহেনা আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির বিশ্বাস।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা মহিলা দলনেত্রী নুরুন্নাহার নুরি, নাজমা সুলতানা, নাজমা পারভিন, কবরী বেগম প্রমুখ। এ সময় পাজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।