পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর, দৈনিক সারা দুনিয়া।
যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ২৭ বিল এলাকার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত নিষ্কাশনে স্বেচ্ছাশ্রমে ডায়ের খালের কচুরিপানা (শ্যাওলা) অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর-২৫) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শত শত মানুষ কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল ও মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেন-এর নেতৃত্বে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেন। প্রথম দিনেই তারা স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা অপসারণ করেন। এখনও সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খালের কচুরিপানা অপসারণ করা প্রয়োজন। আগামী এক সপ্তাহ পর বাকী কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।
হরি ঘ্যাংরাইল নদীসহ সংযোগ খালগুলি পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে ২৭ বিল এলাকার ৬৮টি গ্রাম ভয়াবহ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বসবাসযোগ্য জমি বাদে শুধুমাত্র চাষযোগ্য প্রায় ৫৫ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধ থাকায় কৃষক কোন ধরনের কৃষিকাজ করতে পারেনি। এসব কৃষক এখন জলাবদ্ধ বিলগুলিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কবে এ জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশন হবে কেউ বলতে পারছে না। ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি। আমরা জলাবদ্ধ মানুষের সহযোগিতায় বিল খুকশিয়ার ৮ ভেন্ট স্লুইস গেটের সামনে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃখনন কাজ করেছি। আর এখন কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার বলেন, ‘হরি নদী, হরিহর নদ ও আপার ভদ্রা নদীসহ আরও ১০টি সংযোগ খাল পুনঃখননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে এবং অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হবে ও জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশন হওয়া সম্ভব হবে।।